যার মধ্যে চারটি দোষ থাকবে সে নির্ভেজাল মুনাফিকে পরিণত হবে
"যার মধ্যে চারটি দোষ থাকবে সে নির্ভেজাল মুনাফিকে পরিণত হবে আর যার মধ্যে সেগুলোর মধ্যে থেকে একটি থাকবে সে তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে একটি মুনাফেকির নিদর্শন বিদ্যমান থাকবে। সেগুলো হল:
◆ ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।
◆ ২. কথা বললে মিথ্যা বলে।
◆ ৩. প্রতিশ্রুতি দিলে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
◆ ৪. এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল কথা বলে।" (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
◍ অন্য হাদিসে আছে,
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بالطعان، ولا اللعان، ولا الفاحش، ولا البذيء
"মুমিন কখনো দোষারোপ কারী, অভিশাপ দাতা, অশ্লীল ভাষী ও গালিগালাজ কারী হয় না।" (তিরমিজি, হাদিস নং : ২০৪৩-শাইখ আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
◍ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন,
سِباب المُسْلِمِ فُسوقٌ، وقِتَالُهُ كُفْرٌ (متفقٌ عَلَيهِ)
"কোন মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি (পাপfচার) এবং তার সাথে লড়াই ও মারামারিতে লিপ্ত হওয়া কুফরি।" [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৪৫]
◍ তাছাড়া আল্লাহ তআলা আমাদেরকে সুন্দর ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন,
وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا
"আর তোমরা মানুষের সাথে সুন্দর ভাষায় কথা বলবে।" (সূরা বাকারা: ৮৩)
বিশেষ করে পিতামাতা তার সন্তানদের জন্য আদর্শ-অনুকরণীয়। সুতরাং তারা যদি অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং নোংরা ও অন্যায় আচরণ করে তাহলে তা সন্তানদের মাঝে দ্রুত সংক্রমিত হয়। সুতরাং আদর্শ পিতামাতার উচিৎ, সন্তানদের সাথে কথাবার্তা আচরণের ক্ষেত্রে সংযম রক্ষা করা এবং সন্তানদের সামনে এমন কোন কথা না বলা বা এমন কোন আচরণ না করা যা তাদের মধ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে।
➧ তবে মনে রাখতে হবে, সন্তানের জন্য সর্বাবস্থায় পিতামাতার আনুগত্য করা এবং তাদের সাথে সম্মান ও নম্রতা সুলভ আচরণ করা ফরজ। কোন অবস্থায় তাদের সাথে খারাপ আচর করা যাবে না
0 Comments