বায়ুফ্লক পদ্ধতিতে কেন মাছ চাষ করব...??
[ ] আমরা চারদিকে লক্ষ্য করলে দেখব যে,সাধারণত পুকুরেই মাছ চাষ করে।কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখতে পাই যে,অনেক মাছ ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যায়! এর কারণ হলো.....
★বণ্যার কারণে পুকুর ডুবে মাছ বাইরে চলে যায়
★অনেক সময় দেখা যায় যে,কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে সে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে যার কারণ হিসেবে সব মাছ মরে যায়
★আবার মাছ চাষে ব্যগাত গঠার অন্যতম কারণ হলো, পুকুরে পোকামাকড় মাছের জন্য দেওয়া খাবার থেকে গ্রাস করে যার কারণে মাছ প্রয়োজন মতো খাবার পায় না।এতে করে পুকুরে মাছের সংখ্যা কমে যায়
★অনেক সময় পুকুরের পানি দূষিত হওয়ার কারণে মাছ চাষে ব্যঘাত ঘটে
★পরিকল্পিত পরিকল্পনার অভাবে মাছ চাষে ব্যাঘাত ঘটে
★অনেক সময় দেখা যায় যে,মাছের রেণু অথবা পোনা পুকুর ছেড়ে দেওয়ার সময় তাপমাত্রা পাথ্যকের জন্য মারা যায়
★পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাবে ও মাছ চাষে ব্যঘাত ঘটে
★ অনেক সময় পুকুরে রাক্ষসি মাছের সাথে অন্যন্য মাছ চাষ করার কারণে, রাক্ষসি মাছ অন্যন্য মাছকে খেয়ে পেলে এতে করে ব্যপক ক্ষতি হয়
তাহলে কঠোর পরিশ্রম করে মাছ চাষ করেও আমরা কোনো রকম উপকৃত হতে পারি না অথচ ক্ষতির স্বকীর হয়।এখন কথা হলো আমরা কি এসব ক্ষতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারব???তার জন্য আমাদের কি করতে হবে???এবং কিভাবে মাছ চাষ করলে আমরা লাভমান হবো???তার জন্য আমার এ লেখা.....
★আমরা যদি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করি তাহলে আমরা এসব ক্ষতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব। এ বায়োফ্লক পদ্ধতিটি হলো একটি অত্যধুনিক মাছ চাষ পদ্ধতি। আমরা উপরের চিত্র গুলো দেখে মোটামুটিভাবে মাচ চাষের স্তানটি সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করতে পেরেছি।এখন নিছে বায়ুফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের উপকারিতা দেওয়া হলো
1. এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে খাবারের অপচয় হয় না
2. যেহেতু এ পদ্ধতিতে মাচ চাষ করলে কোনো বৃহৎ পুকুরের প্রয়োজন হয় না সেহেতু জায়গার খরচ বহন করতে হয় না
3. এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে ৫০ গুন বেশি লাভ করা যায়
4. এ পদ্ধতি ব্যবহার করে খুবই অল্প সময়ে মাছকে বাজারজাত করা যায়
5. এ পদ্ধতিটি যেহেতু আবদ্ধ পাত্রে করা হয় সেহেতু পোকামাকড় খাবার গ্রাস করতে পারে না
6. এ পদ্ধতিতে পানি দৃষিত হওয়ার কেনো সুযোগ নেই
7. এ পদ্ধতিতে যেকোনো জায়গায় মাছ চাষ করা যায় এমনকি ভবনের উপরে অথাৎ চাদে।
8. এ পদ্ধতিতে মাছের মল গুলো খাবারে পরিণত হয়
9. এ পদ্ধতিতে শীতকাল পানি শুকিয়ে যায় না
10. এ পদ্ধতি তে যেহেতু আলাদা আলাদা পজাতির মাছ চাষ করা হয় সেহেতু একটি মাছ অন্য মাছকে খেতে পারে না
11. এ পদ্ধতি তে আপনি যেহেতু ঘরের মধ্যেও মাছ চাষ করা যায় সেহেতু কেউ কোনো রকম ক্ষতি সাধন করতে পারে না
এছাড়াও আরো অনেক সুবিধাজনক দিক রয়েছে